ডেস্ক নিউজ
নানা রাজনৈতিক অসঙ্গতি ও সাংগঠনিক ইস্যুতে বিএনপি নেতাদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। একের পর এক দলত্যাগ করছেন নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান দলের মহাসচিবের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন আর রাজপথে নেই। এরা স্কাইপের মাধ্যমে অনলাইন-ভিত্তিক রাজনীতি করতে চায়। এটি করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান আরো বলেন, শুধু বিএনপি নয়, সমমনা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাজনীতি করতে আগ্রহী নই। এ জন্যই রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সমর্থন আছে নিশ্চিত করে পদত্যাগপত্রে মোরশেদ খান লিখেছেন, আজ অনেকটা দুঃখ ও বেদনাক্লান্ত হৃদয়ে আমার এই পত্রের অবতারণা। মানুষের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আমার বিবেচনায়, সে ক্ষণটি বর্তমানে উপস্থিত এবং উপযুক্তও বটে।
একইসঙ্গে রাজনীতির অঙ্গনে নিজের দীর্ঘকালের পদচারণা, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বহু বিচার-বিশ্লেষণে বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রাথমিক সদস্যসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি বুঝে গেছি, বিএনপি ভূত-ভবিষ্যৎ। যা নিয়ে আর এগোতে চাই না। দল যে গতিতে চলছে এবং নেতারা যেরকম গ্রুপিং-লবিংয়ে ঢুকে গেছে তাতে ব্যক্তি সম্মান টিকিয়ে রাখতে হবে নিজেকেই। এ বিবেচনা থেকেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এম মোরশেদ খানের মতো সিনিয়র নেতার পদত্যাগ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী ইউনুস আলী ফোন ধরে বলেন, স্যার ব্যস্ত আছেন। এখন কথা বলতে পারবেন না, বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।