নিউজ ডেস্ক :
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকলেও দলীয় কোন্দল, প্রভাব বিস্তার ও পদ নিয়ে হানাহানি কমেনি বিএনপির রাজনীতিতে। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভেদ ও মতপার্থক্যে দলটির রাজনীতি বেহাল হয়ে পড়েছে।
এবার বিএনপির পদবাণিজ্য ও প্রভাব বিস্তারের রাজনীতির বলি হলেন নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওয়াহেদ আলী। ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্যের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন এই বিএনপি নেতা। নিহত ওয়াহেদ আলী বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবং করিমপুর গ্রামের তাছির আলীর ছেলে।
তথ্যসূত্র বলছে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় বিএনপি নেতাদের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াহেদ আলীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা ও সাপাহার উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সালেক চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দুটি গ্রুপ ছিল। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের খঁড়িবাড়ি বাজার সেডে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনা সভায় ডা. সালেক চৌধুরীর কর্মী সমর্থকরা হেলমেট পরে লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক ইউপি সদস্য ওয়াহেদ আলীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার কান ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেয়। সেখান থেকে রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াহেদের মৃত্যু হয়।
এদিকে দলীয় কোন্দলের জেরে দেশজুড়ে বিএনপি নেতাদের সংঘর্ষ ও হানাহানির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, বিএনপি অনেক বড় সংগঠন। এখানে যেমন ভালো নেতা আছেন, তেমনি খারাপ-দুর্নীতিবাজ নেতাও রয়েছেন। সত্যি বলতে যারা পদবাণিজ্য ও প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি করে তাদের কোন দল হয় না। তৃণমূল বিএনপির অপকর্মের কারণে আজকে হাইকমান্ডকে বিব্রত হতে হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। মনে রাখা উচিত, বিএনপি প্রতিহিংসা ও পদবাণিজ্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।