ডেস্ক নিউজ
পদ্মা সেতুর রেলপথের শতভাগ স্টেনজার বা গার্ডার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ১২ ও ১৩নং স্প্যানের মাঝখানে ফাঁকা অংশে সর্বশেষ স্টেনজারটি বৃহস্পতিবার বসিয়ে দেয়া হয়। প্রতিটি স্টেনজারের ওপরই রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়। প্রতিটি স্টেনজারে ৮টি করে স্ল্যাব বসে। প্রতিটি স্প্যানের মাঝের ফাঁকা স্থানে স্টেনজার বা পাটাতন বসানো হয়। স্প্যানের ওপর বসানো বিয়ারিংয়ের ওপর স্থাপন করা হয় স্টেনজার। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নং পিয়ারের ওপর পদ্মা সেতুর ১ম স্প্যানটি বসানো হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়। ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান, তার ওপর ১৩১২টি স্টেনজার। ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে স্টেনজার বসানো শুরু হয়ে ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার ২ বছর ৮ মাস ১৫ দিনে তা শতভাগে সম্পন্ন হলো। তবে বিলম্ব হয়েছে গত বর্ষা মৌসুমে ৩১ জুলাই ২০২০ প্রমত্তা পদ্মার ভাঙ্গনে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে রক্ষিত পদ্মা সেতুর ১৯২টি রেলওয়ে স্টেনজার নদীর পানিতে বিলীন হয়ে বালির নিচে চাপা পড়ে। পরে বিলীনের ৫ মাস পর পানি কমলে প্রতিটি সাড়ে ৭টন ওজনের স্টেনজার তুলে পদ্মাতীরের ইয়ার্ডের পাশে রাখা হয়। পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, দীর্ঘ সময় পানির নিচে থাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া স্টেনজার আর পদ্মা সেতুতে ব্যবহার করা হয়নি। নতুন করে ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ থেকে জাহাজে করে ১৯২টি স্টেনজার এনে সেতুতে স্থাপন করা হলো। এর ফলে সেতুর নিচতলার রেলপথ মাওয়া টু জাজিরা যুক্ত হলো। এখন স্টেনজারের ওপর দিয়ে হেঁটে এপার-ওপার যাওয়া-আসা করা যাবে। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের সেতুর দুই প্রান্তে ৩.১৪ কিলোমিটার সংযোগ সেতু দুই লেন উঠবে দুই লেন নামবে করে যুক্ত করা হলো।