ডেস্ক নিউজ
লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও নির্ধারিত সময় ২০২২ সালের মার্চেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়া নিয়ে কোনো সংশয় দেখছে না সেতু কর্তৃপক্ষ। তবে, কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন তারা। এপ্রিলের শেষে কাজের সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
নানা কটূক্তি আর ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে স্বপ্নযাত্রা ২০১৪ সালের শেষের দিকে। দীর্ঘ এই পথচলায় হাজারো মানুষের কঠোর শ্রম আর একনিষ্ঠতায় একসময়ের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। পুরোপুরি দৃশ্যমান স্বপ্নে সেতু পদ্মা।
চারদিকে কোভিড সংক্রমণের ভীতি, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত জীবন জীবিকা। তবু এক মুহূর্তের জন্য থেমে নেই নির্মাণযজ্ঞ। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পদ্মায় কাজ চলছে তিন শিফটে। প্রমত্তার দুই পাড়ের সংযোগ স্থাপনের স্বপ্ন পূরণের পর মানুষ এবার ক্ষণ গুনছে সেতু পারাপারের।
সেতুতে সমানতালে চলছে রোডওয়ে এবং রেলওয়ের স্ল্যাব বসানোর কাজ। এ ছাড়া এগিয়ে নেয়া হচ্ছে, ভায়াডাক্ট, প্যারাপেট ওয়াল, গ্যাস পাইপ লাইন, পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইনসহ আরও অনেক কর্মযজ্ঞ। এ মুহূর্তে মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, নদীশাসন ৮৩ শতাংশ এবং সার্বিক অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
নানা প্রতিকূলতায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করার আশাবাদ প্রকাশ করেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান পদ্মা সেতুর প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হলেও বাড়েনি খরচের পরিমাণ।