ডেস্ক নিউজ
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন তা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দিয়েছেন। আদালতে রিটের ওপর শুনানি করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। পরে রিটকারী আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র সম্পর্কে জানতে পারে, সে কারণেই এই রিট দায়ের করা হয়। আদালত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্রের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন তা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্রের অন্তর্ভুক্তি চেয়ে আইনজীবী উত্তম লাহেড়ির পক্ষে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী ও এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম এ রিট দায়ের করেন। ওইদিন তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুক্তের ইতিহাস জানাতে এই ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করা দরকার। এর আগে এ বিষয়ে আইনী নোটিস দেয়া হয়েছিল। রিটে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র যারা অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।