পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আগামী জুন মাসে প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৮৬টি জাহাজ এই বন্দরে এসেছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৪০৩ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। আয় আরও বাড়বে। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এ সময় পায়রা বন্দর স্থাপন ও চালু করতে এ পর্যন্ত কী পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে এবং বিপরীতে কতটুকু অর্জন হয়েছে, তা জানতে চায় কমিটি। এ ছাড়া বন্দরকে বাণিজ্যিকভাবে আরও আকর্ষণীয় করার সুপারিশ করা হয়। এ সময় একজন সদস্য পায়রা বন্দর নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও সুধীজনদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে বলে কমিটিকে জানান। তাদের এহেন মনোভাব দূর করতে অতিদ্রুত পায়রা বন্দর সরেজমিন পরিদর্শন করে একটি প্রেসকনফারেন্স করার সুপারিশ করে কমিটি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীরউত্তম। বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, এম আবদুল লতিফ, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা অংশ নেন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, কমিটি চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন শীর্ষক প্রকল্পে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় খাল ও নদীর সংযোগস্থলে স্টিলের ট্র্যাপ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। একই সঙ্গে কমিটি নাবিকদের অধিকার রক্ষায় ও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে কমিটির সদস্য এম আবদুল লতিফকে সভাপতি করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি সাবকমিটি গঠন করে।
বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদফতরের উপসচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।