করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও চিকিৎসাসামগ্রী উৎপাদনে বিনিয়োগ সহায়তা মিলছে। এ জন্য একটি প্রকল্প দাঁড় করিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, যাতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটির নাম ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব (ইসিফোরজে)’।
প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা হয়েছে কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্ড ফান্ড (সিইআরএফ)। এর মাধ্যমেই অনুদান আকারে বিনিয়োগ সহায়তা দেওয়া হবে উদ্যোক্তাদের। আজ রোববার থেকেই আবেদন করা যাচ্ছে। অনুদান পাওয়া যাবে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত।
আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের কার্যক্রম প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ান টিমবন, বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইসিফোরজে প্রকল্পের পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এটি একটি মাইলস্টোন উদ্যোগ। স্থানীয় বাজার তো বটেই, বৈদেশিক বাজারে রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। পিপিই ও চিকিৎসাসামগ্রী উৎপাদনে যুক্ত উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ সহায়তা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি সরকারের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ তো আছেই। উভয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।
উদ্যোগটির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্পের এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড (ইআরএফ) কর্মসূচির দলনেতা ডেভ রাঙ্গানাইকালু। এতে বলা হয়, এ কর্মসূচির জন্য অনুদানের পরিমাণ হবে ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। প্রতিটি উদ্যোগে অনুদানের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ডলার। এ কার্যক্রম চলবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান পিপিই পণ্য উৎপাদন করে স্থানীয় বাজার ও রপ্তানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের জন্য এ অনুদান। দেশীয় ও বৈদেশিক প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে কোনো উদ্যোক্তা যদি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা করে বৈচিত্র্যপূর্ণ পিপিই সামগ্রী উৎপাদন করতে সক্ষম হন, তাঁরাই এ অনুদানের জন্য বিবেচিত হবেন।
অনুদান আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ অনুদান পাবেন আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হবে ৫০ শতাংশ।