ডেস্ক নিউজ
বিশ্বের নির্ধারিত ৬৪ দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই প্রতি ঘণ্টায় পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি আয় করেন। মাসিক আয়ের ক্ষেত্রেও এ ব্যবধান অত্যন্ত কম। দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর মাসিক আয় মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ কম। গত ১৬ জানুয়ারি জাতিসংঘের ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনা ২০২০’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, পার্টটাইম/ফুলটাইম চাকরি, সরকারি-বেসরকারি চাকরি প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে এ জরিপে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বিশ্ব পারিশ্রমিক প্রতিবেদনের সঙ্গে তুলনা করে এটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘণ্টা হিসাবে একই কাজে পুরুষের তুলনায় বাংলাদেশের নারীরা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি পারিশ্রমিক পান। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আইএলওর প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি ঘণ্টায় নারীরা পুরুষদের চেয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি আয় করেন। তবে মাসিক হিসাবে পুরুষদের আয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে নারী-পুরুষের পারিশ্রমিক ব্যবধান কমেছে অন্তত ৫ পয়েন্ট। সে হিসাবে মাত্র এক বছরেই বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে।
তবে বৈশ্বিক হিসাবে নারী-পুরুষের আয়ের চিত্র সন্তোষজনক নয়। এ হিসাবে প্রতি ঘণ্টায় নারীর আয় পুরুষের চেয়ে গড়ে ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ কম। মাসিক আয়ের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের চেয়ে গড়ে ২১ দশমিক ২ শতাংশ কম পারিশ্রমিক পান।
এ ছাড়া ব্যবধান বেড়েছে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে। জাতিসংঘের চোখে পারিশ্রমিকে নারী-পুরুষ সমতার ক্ষেত্রে ১৭টি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। ৩০টি উচ্চ আয়ের দেশে মাসিক পারিশ্রমিক ব্যবধান সবচেয়ে কম। তবে পাঁচটি নি¤œ আয়ের দেশ এক্ষেত্রে ভালো করেছে।
নারী-পুরুষের পারিশ্রমিকে ঘণ্টা আর মাসিক উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় ব্যবধান রয়েছে পাকিস্তানে। এর পরই রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। উচ্চ আয়ের দেশ হয়েও এ তালিকার তিনে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলংকায় লিঙ্গভিত্তিক পারিশ্রমিক ব্যবধান বেশ চড়া, সে ক্ষেত্রে নেপালের অবস্থান ভালো। একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এ ব্যবধান বিশ্বের গড় ব্যবধানের চেয়ে বেশি। তবে এ জরিপে স্থান পায়নি ভারত।