নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গায় পুলিশের দেওয়া পাকা ঘর পেয়ে মহাখুশি সমতলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টি গৃহহীন ভগরানী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও সারাদেশের প্রতিটি থানা এলাকায় একটি করে গৃহহীনদের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ উদ্দ্যেগ নেয় বাংলাদেশ পুলিশ।রোববার সারাদেশে প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশের উদ্দ্যেগে নির্মিত পাকা ঘরগুলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্বোধন করেন।এর অংশ হিসাবে নলডাঙ্গা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি গৃহহীন ভগরানী এ পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়,উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির হতদরিদ্র ভগরানী তার স্বামী উকিল কর্মকার তিন সন্তান কে নিয়ে অন্যের ঝুপড়ি ঘরে কষ্টে বসবাস করতেন।স্বামী সামন্য কৃষি শ্রমিকের কাজ করে কোন মতে সংসার চালাতো।এ পরিস্থিতে এই উকিল ও ভগরানীর জায়গা জমি কিনে ঘর নির্মাণ করা তাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও সারাদেশের প্রতিটি থানা এলাকায় একটি করে গৃহহীনদের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ উদ্দ্যেগ নেয় বাংলাদেশ পুলিশ।রোববার সারাদেশে প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশের উদ্দ্যেগে নির্মিত পাকা ঘরগুলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্বোধন করেন।এর অংশ হিসাবে মির্জাপুর গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি গৃহহীন ভগরানী এ পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়।এ ঘর পেয়ে ভগরানীর পরিবার মহাখুশি।
নতুন ঘর পেয়ে আবেগাপ্লত ভগরানী বলেন,খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। ঝড়-বৃষ্টিতে সন্তানকে নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছিল। পুলিশ আমাদের জন্য যা করল সেটি কোনো দিন ভোলার নয়। বাংলাদেশ পুলিশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,মুজিব শতবর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পুলিশের আইজিপির উদ্যোগে সারাদেশের মতো নাটোর জেলা পুলিশ সুপার,লিটন কুমার সাহা স্যারের দির্কনির্দেশনায় নাটোরের ৭ থানায় ৭টি গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর প্রদান করা হয়।
পুলিশের উদ্দ্যোগে নির্মিত বাড়িতে দুটি কক্ষ একটি টয়লেট,একটি টিউবয়েল ও বিদ্যুৎ সুবিধা আছে।