নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেছেন, সিংড়া থানায় যদি থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ অথবা ট্রাফিক পুলিশের কোন সদস্য চাঁদা আদায় করে আর তা যদি কেউ প্রমাণ করে দিতে পারে তাহলে তার পোশাক খুলে নিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেবো। আমি কথা দিলাম আপনাদের। এক শ্রমিক নেতার চাঁদাবাজির অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে এ কথা বলেন তিনি। আজ রবিবার দুপুরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে থ্রি হুইলারের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় শ্রমিক নেতারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে এসব বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিধায় কোন থ্রি হুইলার সিংড়ায় মহাসড়কে চলবে না। আদালতের নির্দেশ পালন করছি আমরা। জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলে সেটা আলাদা বিষয়। সেক্ষেত্রে আমাদের কোন আপত্তি নাই। অন্যথায় মহাসড়কে কোন থ্রি হুইলার চলবে না।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইসরাফিলের নেতৃত্বে অবৈধ থ্রি হুইলারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় কয়েকটা সিএনজি আটক করলে শ্রমিক নেতারা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পরে থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের চেষ্টায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু মন্ডল বলেন,গরীব সিএনজি চালকরা বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা লোন করে পেটের দায়ে সড়কে গাড়ি চালায়। সেখানে হাইওয়ে পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান করে গাড়ি আটক করে আবার কখনো টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এমন অভিযোগের পরে পুলিশ সদস্যের চাঁদাবাজি প্রমাণিত হলে তাকে পুলিশের পোশাক খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবার হুঁশিয়ারি দেন ওসি।
হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইসরাফিল বলেন, চাঁদাবাজির বিষয় সত্য না, গত ছয় দিনে দূর্ঘটনায় ৬ জন মারা গেছে,আমরা দূর্ঘটনা রোধের জন্য আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি মাত্র। সেখানে সিংড়া থানার ওসি নুর-এ-আলম সিদ্দিকী উপস্থিতি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।