ডেস্ক নিউজ
স্থায়ী ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে ছিন্নমূল মানুষদের জীবনযাত্রা। এখন তারা কামাই রোজগার করে সন্ধ্যায় ঘরে এসে আরামে বিশ্রাম নিতে পারছে। বৃষ্টি নামলে চালার ফুটো দিয়ে পানি পড়ে কুঁড়ে ঘরের আসবাবপত্র কাঁথা-বালিশ ভিজে যাবে- সে চিন্তাও আর নেই তাদের। অথচ কিছুদিন আগেই ঝড় বৃষ্টির আভাস পেলেই আতঙ্কে থাকতেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিন্ত করে দেয়ায় খুশিতে ভাসছেন তারা।
আরামে ঘুমাতে পারছেন বলে নামাজের পর শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করছেন সবাই। ষাটোর্ধ বয়স্ক মৃত আলী হায়দারের ছেলে আবুল কাশেম বলেন, আমাদের একটি করে ঘর উপহার দিয়ে শেখের বেটি বড়ই উপকার করেছেন। আমরা তো কখনও কল্পনাও করিনি যে এ রকম মজবুত সেমিপাকা ঘরে ঘুমাব। বোঝা গেছে, জাতি ও দেশপ্রেমিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাও দেশপ্রেমিক। টেকনাফ উপজেলা বাহারছড়ার শামলাপুর সৈকতে পলিথিনের ঝুপড়ি বাসায় বসবাস করে আসছিল পরিবার-পরিজন সহকারে বহু পরিবার।
ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বারের চেষ্টায় তারা মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দালান বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন এখন। খুশিতে কেঁদে ফেলে বৃদ্ধ আবুল কাশেম বলেন, আমার কোন জমি, ঘর ছিল না। একটা ভাঙ্গা পলিথিনের তৈরি ঝুপড়িতে থাকতাম। বর্ষায় ঘরের চালের ছিদ্র দিয়ে পানিতে ভিজে যেত সবই। উপায় নেই বলেই ওই ঝুপড়িতে কোন রকমে থাকতাম। এমন দালান বাড়ির মালিক হব এটা জীবনেও ভাবনায় আসেনি। একদিন হঠাৎ আমার ভাঙ্গা ঘরে বাহারছড়া ভূমি অফিসার এসে আমার ছবি ও এনআইডি কার্ড নিয়ে যায়।
পরে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমিসহ বাড়ি পাব বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার দালানে জীবনের প্রথম ঘুমাইচ্ছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাড়ি পেয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন হাজার হাজার পরিবার। নিজস্ব ঠিকানা ও আশ্রয় পাওয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। বাহারছড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছোট্ট ছোট্ট গ্রামে রঙিন এসব ঘর শোভা পাচ্ছে।
গৃহহীন ভূমিহীন মানুষকে জায়গাসহ সেমিপাকা বাড়ি দেয়ায় তাদের ছেলেমেয়েদের মনেও আনন্দ। উপকাভোগীরা সরকারের দেয়া বাড়িটিকে দেখছেন জীবনের সেরা উপহার হিসেবে। শামলাপুর এলাকায় ভূমি ও গৃহহীন ছৈয়দ আলম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিসহ দালান পেয়ে অসহায় মানুষ পরিবার নিয়ে দালান বাড়িতে ঘুমাচ্ছি।
আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখুক। মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়েছেন এমন সুবিধাভোগীরা জানান, আমাদের জমি-ঘরবাড়ি কিছুই ছিল না। জীবনে দালান বাড়িতে ঘুমাতে পারব তা স্বপ্নেও ভাবিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে তারা ভীষণ খুশি হয়েছেন। বাহারছড়ায় মূলত ছিন্নমূল, ভূমিহীন গৃহহীন, দিনমজুররা ঘর পেয়েছেন। যারা ঘর ও জমি পেয়েছেন তাদের যে আনন্দ তা না দেখলে বোঝা যায় না।