নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণে জড়িত ‘আওয়ামী যুবলীগ’ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে কালো পতাকা নিয়ে গণ জমায়েত করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র জনতা’র ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
গণ জমায়েতে বক্তব্য রাখেন কবি সাখাওয়াত আমিন, ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জহর লাল রায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসমানি আশা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারিয়া উলফা সৈয়দসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী,পেশাজীবী ও সংগঠক।
এসময় বক্তারা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পদত্যাগের দাবি জানান। গণজমায়েতে ‘যে রাষ্ট্র ধর্ষক পোষে, সে রাষ্ট্র চাই না’, ‘ধর্ষক লীগের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও; পুড়িয়ে দাও’, ‘ধর্ষকদের শাস্তি দাও, নয়তো গদি ছেড়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
পরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রদক্ষিণ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রার সময় পরিবাগ মোড়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন তারা।
এসময় পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তিকালে ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসনানি আশা, লালবাগ থানা শাখার দপ্তর সম্পাদক মাহমুদা দিপা, মোহাম্মদপুর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন শুভসহ পাঁচজন আহত হন। আহত বাকি দু’জনের নাম এখনো জানা যায়নি।
আসমানি আশা ও মাহমুদা দিপাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ গুরুতর আহত হয়নি বলে জানান ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম।
পুলিশি বাধার সম্মুখীন অবস্থায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, ঢাকা মহানগর সভাপতি জহর লাল রায় প্রমুখ।
এদিকে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যা ৭টায় শাহবাগ মোড়ে মশাল মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল এ ঘোষণা দেন। কালো পতাকা মিছিলে তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।