ডেস্ক নিউজ
টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর চলতি বছরের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম দিল্লি সফর করেন। এই সফরে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে দুই দেশের মধ্যে৷ পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এই চুক্তিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে রোববার (৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং চুক্তিপত্র বিনিময় হয়েছে। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ঢাবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং চুক্তিপত্র বিনিময় করেন।
পাঁচ বছর মেয়াদি এই চুক্তি স্বাক্ষরের মূল লক্ষ্য হলো- উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমতা ও পারস্পরিক সুবিধা দেওয়ার নীতির ভিত্তিতে শিক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা বাড়ানো এবং পারস্পরিক সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটানো।
এই সমঝোতা চুক্তির আওতায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং তথ্য বিনিময় করা, গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতা করা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যৌথভাবে সিম্পোজিয়াম ও সম্মেলন আয়োজন করা উল্লেখযোগ্য।
এদিকে শিক্ষাখাতে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা খাতে দুই দেশের চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, ভারত শিক্ষাখাতে বেশ উন্নত, বিশেষ করে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি লক্ষণীয়। এছাড়া হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারকে লাভবান হবে বাংলাদেশ। শিক্ষাখাতকে কাজে লাগিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা বৃদ্ধি সংক্রান্ত এই চুক্তি নিঃসন্দেহের বাংলাদেশের জন্য বড় পাওয়া বলেও মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।