ডেস্ক নিউজ
বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের করোনার আরটি-পিসিআর টেস্ট ফির এক হাজার ৬০০ টাকা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
শনিবার (২ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা আমাদের দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। সরকারও তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সদা তৎপর রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী কর্মীদের বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য ধার্যকৃত এক হাজার ৬০০ টাকা মন্ত্রণালয় থেকে পরিশোধ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ল্যাবের কার্যক্রম শুরুর পর ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে ল্যাবের অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিভিল এভিয়েশন আপনাদের স্থাপিত ল্যাবগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রুটগুলোতে নিয়মিত ফ্লাইটগুলো চালুর অনুমোদন দেওয়া হলো।
চিঠিতে একমাত্র শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, একজন যাত্রী তার যাত্রা শুরুর ৬ ঘণ্টা আগে এই ল্যাবগুলো থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হতে পারবেন। আমিরাতের অনুমোদনের পর প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘদিন পর ঢাকা থেকে শিডিউল ফ্লাইট নিয়ে দুবাই যায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।
অনুমোদন পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড, স্টেমজ হেলথকেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক। ল্যাবগুলোতে জনপ্রতি পরীক্ষা ফি এক হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কারিগরি কমিটি।
গত আগস্টে আরব আমিরাতে প্রবাসীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়, দেশটিতে যেতে হলে যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে লাগবে বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ।
কিন্তু বাংলাদেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই এমন ব্যবস্থা না থাকায় কর্মস্থলে যেতে বিপাকে পড়েন প্রবাসীরা। এর মধ্যে কারও কারও ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। তাই দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে দ্রুত আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানান প্রবাসীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ছয়টি ল্যাবে ১২টি মেশিন বসানো হয়।
এই ল্যাবগুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। এখানে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষার জন্য র্যাপিড পিসিআর ল্যাব এবং সাধারণ পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব দুটিই কাজ করবে।