ডেস্ক নিউজ
চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগারগাঁওয়ের বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে গত ১০ অক্টবর, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সাময়িক হিসাব করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, প্রবৃদ্ধির সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়। টেকসই প্রবৃদ্ধির গতিধারাই মূল বিষয়। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশ শক্তিশালী বলে তিনি মনে করেন। তাঁর মতে, প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। বাজার চাহিদা অনুযায়ী মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নাড হেভেন। তাঁর মতে, আর্থিক, রাজস্ব খাত, উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংস্কার দরকার। এ ছাড়া ব্যবসায় পরিবেশও উন্নতি করার তাগিদ আছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পরিচালক মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, ‘বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অনেক প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে সংখ্যা কোনো বিষয় নয়। ইতিবাচক উন্নতি যে হচ্ছে এটিই অনেক বড় ব্যাপার। তাছাড়া দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। গ্রামীণ অর্থনীতি ভাল করছে। তবে টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য চলমান সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা, রফতানি বহুমুখীকরণ, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিশেষ নজর দিতে হবে।’