নিজস্ব প্রতিবেদক:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দক্ষ নেতৃত্ব এবং ডিজিটাল আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে প্রযুক্তির উদ্ভাবনী সংস্কৃতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার নাটোরের কাদিরাবাদ বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) ক্যাম্পাসে ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মোবাইল অ্যাপস ও গেইম টেস্টিং ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ২০৪১ সালের প্রযুক্তি নির্ভর মেধাবী উন্নত দেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারুণ্যের অফুরান শক্তিতে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটি এবং মাইক্রো প্রসেসর নিয়ে কাজ করছে দেশের প্রযুক্তি খাত। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শীর্ষ প্রযুক্তির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
পলক বলেন, ১৩ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দরিদ্র পিছিয়ে পড়া স্বল্পোন্নত দেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ঐ সময়ে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উচ্চাভিলাসী রুপকল্প প্রদান করা হয়। বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমে দেশ এখন সারাবিশ্বে প্রযুক্তিতে অগ্রগামী। এদেশের সোনার মানুষকে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়। সারাদেশে ১৩ হাজার স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরী করে দেওয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে এখন সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার ৫০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছেন। দেশের ১২ কোটি মানুষ অনলাইন ফিন্যানশিয়াল ওয়ালেট ব্যবহার করছেন। বিশ্বের ১২টি মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এখন দেশেই মোবাইল ফোন তৈরী করছে এবং দেশের ৮০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হচ্ছে। ৮০টি দেশে আমাদের দেশে তৈরী সফটওয়ার রপ্তানী করা হচ্ছে। আগামী ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বে আসীন হবে।
বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি’র উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম বকুল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মনিরুজ্জামান. নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের প্রমুখ।