ইউরোপের মতো পরিস্থিতি এশিয়া বা আমাদের দেশে হয়নি বলে যারা কোনো প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন অথবা অফিস, স্কুল কিছুদিনের মধ্যে খুলে যাবে ভাবছেন, তাদের জন্য নিচের এই পরিসংখ্যান-
যুক্তরাষ্ট্র: দেশটিতে প্রথম কারো দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় ১ জানুয়ারি। ১ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ জনে। একমাসের ব্যবধানে ১ মার্চ শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪ জনে। এরপর আরও একমাসের ব্যবধানে ১ এপ্রিল শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজারে।
ইতালি: গত ৩১ জানুয়ারি ইতালিতে ২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ২৯ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ১০০ জনে। আর ৩১ মার্চ করোনা পজেটিভ মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৫ হাজার ৮০০ জনে।
স্পেন: গত ১ ফেব্রুয়ারি স্পেনে প্রথম কারো দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ১ মার্চ সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ জনে। আর ৩১ মার্চ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬ হাজারে।
যুক্তরাজ্য: গত ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে মাত্র ২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল, যা ১ মার্চ দাঁড়ায় ৩৬ জনে। আর ৩১ মার্চ যুক্তরাজ্যে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৫০০ জনে।
জার্মানি: গত ২৭ জানুয়ারি জার্মানিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ ফেব্রয়ারি শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ৪৬ জন। ২৭ মার্চ এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ হাজারে। আর ৩১ মার্চ দেশটিতে মোট ৭১ হাজার ৮০০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়।
ফ্রান্স: গত ২৪ জানুয়ারি ফ্রান্সে মাত্র ২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি ১২ জনের দেহে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ২৪ মার্চ ২২ হাজার ৬০০ জনের দেহে কভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। আর ৩১ মার্চ শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ হাজার ৮০০ জনে।
ভারত: আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে গত ৩০ জানুয়ারি প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২৯ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত হওয়া রোগী বেড়ে দাঁড়ায় ৩ জনে। আর ৩১ মার্চ সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪০০ জনে।
পাকিস্তান: দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল দুইজন। ২৬ মার্চ সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ জন। আর ৩১ মার্চ এই সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৯০০ জনে দাঁড়ায়।
এখন বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যা ৭০। প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ৮ মার্চ, এখনো ১ মাস হয়নি । যেখানে অনেক দেশে ১ মাসে এতো বেশি ছিল না, তারপর কি হয়েছে সেটা ওপরের সংখ্যাগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়- প্রায় সব দেশেই দুই মাস পর মহামারি রূপ নিয়েছে।
এই দেশে মহামারি রূপ নিলে কী হবে সেটা আলাদা করে বলার কিছু নেই। তখন আর ঘরে থেকেও লাভ হবে না। আমরা দেশের, পরিবারের এবং নিজের স্বার্থে ঘরে থাকি এবং সব নির্দেশনা মেনে চলি। এটাই এখন একমাত্র পথ এই ভাইরাসকে মোকাবেলা করার।