ডেস্ক নিউজ
বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যে দেশে ফাইভজি চালুর সরকারি পরিকল্পনা সামনে রেখে সারাদেশে গড়ে উঠছে এক হাজার জিবিপিএস সক্ষমতার উচ্চগতির অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক। এ লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বিটিসিএল। একই সঙ্গে প্রত্যেক জেলা ৩০০ জিবিপিএস এবং উপজেলা ১০০ জিবিপিএস সক্ষমতার অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে। এ ছাড়া সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বিতরণে ১২টি ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হবে। বৃহস্পতিবার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘টিআরএনবি’র সদস্যদের সঙ্গে একটি যৌথ কর্মশালায় তিনি এসব তথ্য জানান।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বিটিসিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) একেএম হাবিবুর রহমান, এমওটিএন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী, টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী এবং সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বিটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক(জনসংযোগ) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ।
বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ফাইভজি প্রযুক্তির সত্যিকারের সেবা নির্ভর করবে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের সক্ষমতার ওপর। বিশ্বব্যাপী বলা হচ্ছে, ‘নো ফাইবার, নো ফাইভজি’। এ কারণে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সবচেয়ে বড় ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে বিটিসিএল এমন একটি শক্তিশালী অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে যাচ্ছে, যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে রাখতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, বিটিসিএল গ্রাহক সেবা ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ডিজিটাল করেছে। এর ফলে গ্রাহকরা এখন টেলিসেবা অ্যাপ মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করে যে কোনো ধরনের সংযোগ নিতে আবেদন করতে পারেন, যে কোনো অভিযোগ জানাতে পারেন। অভিযোগ পাওয়ার পর সর্বোচ্চ তিন দিনের মধ্যে গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করা হয়।