ডেস্ক নিউজ
ফিলিপাইনের কালাম্বা শহরে অবস্থিত হোসে রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ফিলিপিনো জাতীয় বীর ডা. হোসে রিজালের যৌথ কাঠের প্রতিকৃতি সংবলিত একটি শিল্পকর্ম উন্মোচন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ফিলিপিনো শিল্পী নিকোলাস পি আকা জুনিয়রের খোদাই করা এই শিল্পকর্মটি ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জাদুঘরকে উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বুধবার রিজাল জাদুঘরে শিল্পকর্মটি উদ্বোধন করেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম এবং হোসে রিজাল জাদুঘরের কিউরেটর যারাহ এসকুয়েতা।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত সিয়াম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও হোসে রিজাল বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের দুই মহান নেতা। তারা ইতিহাসের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এবং ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে নিজ দেশের জনগণকে পরাধীনতা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাদের অতুলনীয় দূরদর্শী নেতৃত্বেই দেশ দুটি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায়।
শিল্পকর্মটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বুধবার থেকেই রিজাল জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর ওপর দুই মাসব্যাপী প্রদর্শনীও শুরু হয়েছে। যেখানে ওই শিল্পকর্মের পাশাপাশি জাতির পিতার আত্মজীবনী, তার ওপর রচিত বিখ্যাত কিছু বই, ঐতিহাসিক ছবিসহ নানা চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনী শেষে শিল্পকর্মটি দূতাবাসের উপহার হিসেবে জাদুঘরের স্থায়ী সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কালাম্বা সিটি কাউন্সিল, ফিলিপাইন জাতীয় ইতিহাস কমিশন, ফিলিপাইন তথ্য সংস্থা, ফিলিপাইন পর্যটন ও ক্রীড়া উন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাঠের ওপর খোদাই করা কর্মটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ফিলিপাইনের জাতীয় বীর ডা. হোসে রিজালের প্রতিকৃতি রয়েছে। খোদাই কর্মটিতে এই মহান দুই নেতার প্রতিকৃতির পাশাপাশি লাল রঙের আবহ মানুষ ও জনগণের জন্য এই দুই নেতার আত্মোৎসর্গকে প্রতিফলিত করে বলে শিল্পী নিকোলাস জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভ্রমণ করার পর হোসে রিজাল ও বঙ্গবন্দুর জীবনের মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পান, যা তাকে এই শিল্পকর্মটি সৃষ্টির অনুপ্রেরণা দিয়েছে।