জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই দেশে করোনাভাইরাসের টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। টিকা রক্ষণাবেক্ষণ, বণ্টন ও প্রয়োগের জন্য প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ এবং টিকার জন্য স্থাপিত গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট এবং কোভ্যাক্সের আওতায় আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেবে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষকে। তাতে করে মোট মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশ জুনের ভেতরে পেয়ে যাচ্ছে। কোভ্যাক্সের প্রতিশ্রুত টিকা মে এবং জুন মাসের ভেতরে পাওয়ার আশা করছি।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ টিকার জন্য সরকারের ক্রয়চুক্তি হয়ে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,এই টিকার জন্য ক্রয়াদেশও পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করতে পারি জানুয়ারির শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাবে। যখনই অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবে, তখনই বাংলাদেশ সে ভ্যাকসিন পাবে।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে ২৫ লাখ মানুষের জন্য ৫০ লাখ টিকা আসবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা আসবে জুনের মধ্যে। আর কোভ্যাক্সের টিকা আসবে জুনে। সেটাও আসবে পর্যায়ক্রমে।
টিকা পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, টিকা দেয়ার জন্য যে স্থানীয় প্রস্তুতি, সেটাও আমরা যথাযথভাবে নিয়েছি। স্টোরেজ করেছি। টিকার তাপমাত্রা মেনটেইন করার জন্য কিছু বাড়তি কোল্ড বক্স লাগবে, সেটার ব্যবস্থাও হয়ে গেছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ এবং টিকা পরীক্ষার গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে নয়টি টিকা দেয়া হয়, সেগুলো পরীক্ষা হয় এই গবেষণাগারে। করোনাভাইরাসের টিকাও পরীক্ষা হবে এখানে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরগুলোতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান মন্ত্রী।
করোনা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়ে অনেকে অযথাই সমালোচনা করেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে সঠিক পথেই আছে।