ডেস্ক নিউজ
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি ডিজিটাল লাইব্রেরি করে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। মুসল্লি কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই আগ্রহের কথা জানান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসভবনে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সায়েম সোবহান আনভীর। এ সময় তিনি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ জন সামর্থ্যহীনকে ওমরাহ হজে পাঠাবেন বলে জানান।
১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বায়তুল মোকাররম মসজিদ পরিচালিত হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে। তাই ফাউন্ডেশনের অনুমতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর নামে এই ডিজিটাল লাইব্রেরির কথা বলেন সায়েম সোবহান আনভীর।
সভায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক, মুফতি মহিবুল্লাহ বাকী ও মুফতি মহিউদ্দীন কাশেম; গোল্ডেন স্টার ইলেকট্রনিকের চেয়ারম্যান আলী আসগর টগর এমপি, জেসিএক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক খান, নিপ্পন গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মহব্বত উল্লাহ, মুসল্লি কমিটির সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরার মহাপরিচালক মুফতি আরশাদ রহমানি, বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক মোল্লা প্রমুখ।
সভায় সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘আমাদের জাতীয় মসজিদে ডিজিটাল লাইব্রেরি নেই। তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুমতিক্রমে এই মসজিদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইসলামিক লাইব্রেরি করতে চাই। ’
কমিটির সদস্য ও মুসল্লিদের তিনি বলেন, ‘আমাদের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ থেকে প্রকাশিত কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ইসলামী জীবন নামে প্রতিদিন এক পাতার বিশেষ আয়োজন রাখা হয়। আমাদের টেলিভিশন নিউজটোয়েন্টিফোর প্রতি শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের জুমার নামাজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করে। ’
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক নাছির উদ্দিন মুন্সী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা এখন অনেক ক্ষেত্রে পাঠক বা ব্যবহারকারীদের লাইব্রেরিতে পাচ্ছি না। যেহেতু এটা ডিজিটাল হবে, তাই লাইব্রেরিই ব্যবহারকারীদের কাছে চলে
যাবে। এর জন্য শুধু অনলাইনে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ রাখতে হবে। তাহলে যে কেউ অনলাইনে (ই-বুক) লাইব্রেরির ঠিকানায় ঢুকে প্রয়োজনীয় বই পড়তে পারবেন। এ ছাড়া লাইব্রেরিতে এসে কম্পিউটারে বই পড়া যাবে। বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এর দরকার আছে। ফলে এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।