ডেস্ক নিউজ
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) এ এম জুলফিকার হায়াত আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি আবদুল মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের পরপরই মাজেদকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাতে মাজেদকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া ও গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান আজ এই তথ্য জানান।
মাজেদকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
মাজেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক জহুরুল হক আদালতে একটি প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রাতে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে রিকশায় করে সন্দেহজনকভাবে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি (মাজেদ)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি স্বীকার করেন, তাঁর নাম মাজেদ। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি।
মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি পলাতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী। তাঁরা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
এই পাঁচ খুনি বিভিন্ন দেশে পলাতক অবস্থায় আছেন। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ওই রায় কার্যকরের আগেই ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা।