নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তার হাত কেটে নেওয়ার হুমকি, মারপিট, অফিসের ফাইলপত্র তছনছ করা সহ তাকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ। মামলায় রুবেল বালীকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আজ বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যার দিকে শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ নিজেই বড়াইগ্রাম থানায় হাজির হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন,বড়াইগ্রাম উপজেলার ভবানীপুর এলাকার আব্দুল করিম বালির ছেলে রুবেল বালি, বড়াইগ্রামের আব্দুস সামাদের তিন ছেলে জামাল উদ্দিন, জহির উদ্দিন ও সামসুদ্দিন সহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম খান জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তার হাত কেটে নেওয়ার হুমকি, অফিসের ফাইলপত্র তছনছ করা সহ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তা নিজে বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরর পর থেকেই আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিস চলাকালিন সময়ে অভিযুক্তরা বে-আইনি ভাবে জনতায় দলবদ্ধভাবে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভিতরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে প্রবেশ করে। কক্ষে প্রবেশ করেই ১নং অভিযুক্ত রুবেল বালি তাকে হুমকি দিয়ে বলে এমপি স্যার নিষেধ করার পরেও তুই উপজেলায় নিয়োগ দিচ্ছিস, তোর হাত কেটে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ আছে। এসময় সে আরো বলে মেশিন বের কর, শালাকে এক্ষুনি শেষ করে দিব। তারা তার কোন কথা শুনে নাই। আমার অফিসের টেবিলে রাখা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র সহ ড্রয়ারে থাকা ফাইলপত্র তছনছ করে ফেলে দেয় এবং কিছু ফাইল তারা নিয়ে নেয়। এ সময় তাদের কাছে কেন এমন করছেন জানতে চাইলে তারা বলে “ইসলামপুর গুনাইহাটি ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় কেন নিয়োগ দিচ্ছিস”। তখন তিনি তাদেরকে বলেন যে, “ইসলামপুর গুনাইহাটি ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় নিয়োগ সংক্রান্তে আমি ও আমার অফিস কোন প্রকার সংশ্লিষ্ট নয়”। উক্ত বিষয়ে আমি অবগত নই। তারপরেও বিবাদীগণ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও এলোপাথারী ভাবে আমাকে কিল, ঘুষি মেরে আমার মুখে, বুকে, হাতে ও পিঠে ফোলা, কালশিরা জখম করে। আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’ আহত অবস্থায় আমি আমার সহকর্মীদের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা শেষে থানায় এসে মামলাটি দায়ে করেন।