ডেস্ক নিউজ
ত্রিশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বরিশালের মুলাদী উপজেলার মজিদ সরদার (৫০) তিন বছর ধরে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। ঈদের দিনে স্বজনদের সঙ্গে দেখা হয় না তার। করোনার কারণে গত দুই ঈদে কারাগারে নিরানন্দ দিন কেটেছে মজিদের। তবে এ বছর স্বজনদের পাশে না পেলেও ঈদের খুশি ছুঁয়েছে মজিদ সরদারকে। ঈদ উপলক্ষে শনিবার বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার মজিদকে নতুন লুঙ্গি দিয়েছেন।
বন্দি থাকা বরিশাল নগরীর আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দা মুনির হোসেন, হিজলার রজ্জব আলী ঘরামি, গৌরনদীর ইউসুফ আলীও ঈদে নতুন লুঙ্গি পেয়ে বেজায় খুশি। তারা জানিয়েছেন, ঈদের দিন নতুন লুঙ্গি পরে ঈদের নামাজ পড়বেন।
পাঁচ বছর ধরে বন্দি দুই সন্তানের জননী বরিশালের বাবুগঞ্জের দক্ষিণ ভুতেরদিয়া গ্রামের বিধবা মরিয়ম বেগম। সন্তানদের মুখ দেখতে না পাড়ার কষ্ট বুকে চেপে তার গত পাঁচটি ঈদ কেটেছে। এ বছর নতুন শাড়ি পেয়ে দারুণ খুশি তিনি। মরিয়ম বেগম বলেন, ‘মাইয়া-পোলা ছাড়া ঈদের দিনডা চোহের (চোখের) পানিতে ভাসি। এ বছর নতুন শাড়ি পাইয়া মনডা একটু ভালো লাগতেছে।’ নতুন শাড়ি পেয়ে অনুরূপ অনুভূতির কথা জানিয়েছেন মেহেন্দিগঞ্জের কাজীরচর গ্রামের বন্দি মালেকা বেগম, বাকেরগঞ্জের লিপি আক্তার ও ঝালকাঠীর পারুল বেগম।
শনিবার বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে ১৮০ পুরুষ ও ৪৫ নারী বন্দিকে ঈদ উপলক্ষে দেওয়া হয়েছে নতুন শাড়ি-লুঙ্গি। নারী বন্দিদের সঙ্গে থাকা আট শিশুকেও দেওয়া হয়েছে ঈদের নতুন পোশাক।
সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির মাধ্যমে ওই ২২৫ বন্দি ও আট শিশুকে নতুন পোশাক দেওয়া হয়।