ডেস্ক নিউজ
অফিস, দোকানপাট ও গৃহস্থালি বর্জ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রাজধানীর আমিন বাজারে হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম বর্জ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রতিদিন উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪২.৫ মেগাওয়াট। এজন্য প্রতিদিন দরকার হবে তিন হাজার থেকে তেত্রিশ-শ’ মেট্রিক টন বর্জ্য। কাজটি শুরু হলে যেখানে সেখানে বর্জ্য পড়ে থাকবে না, পরিচ্ছন্ন নগরী হবে উত্তর সিটি বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।
দোকানপাট, অফিস-আদালত ও বাসা বাড়ি থেকে প্রতিদিনই ফেলা হয় বর্জ্য। ছোট ছোট ভ্যানে তা সংগ্রহ করে জমা হচ্ছে এসটিসিতি। শুধু উত্তর সিটিতেই প্রতিদিন ২৬শ’ থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য মেলে।
প্রতিদিনের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে আমিন বাজারের বিশাল ল্যান্ড ফিল্ডে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখন থেকে আর মাথা ব্যাথা নয়। এই আবর্জনাকেই এখন সম্পদে পরিণত করতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। দেশের প্রথম বর্জ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির পথে অনেকটাই এগিয়েছে ডিএনসিসি। বিদেশী একটি কোম্পানীর সাথে চুক্তিও হয়ে গেছে।
উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী বলেন, চায়নার কোম্পানি সিএমসির সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ডিএনসিসির মধ্যে ত্রিপাক্ষিক একটি চুক্তি হয়েছে। আমরা একেবারে চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য। ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হবে প্রায় তিন হাজার থেকে ৩৩শ’ মেট্রিক টন বর্জ্য।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের প্রতিদিন ২৫ থেকে ২৬শ’ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। সেক্ষেত্রে আশপাশ থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করতে হবে। উন্নত বিশ্বে বর্জ্য মানেই গোল্ড। সে পথে হাঁটতেই আধুনিক প্রযুক্তিতে বর্জ্য থেকে তেল, গ্যাস ও জৈব সার উৎপাদনের পরিকল্পনাও আছে উত্তর সিটির। সেলিম রেজা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে টেকনোলজিগুলো সংযুক্ত করা হচ্ছে, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জ্ঞান অর্জন করছি। তিনি আশা করেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে যেখানে সেখানে বর্জ্য পড়ে থাকবে না। পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সম্মত নগরীতে পরিণত হবে উত্তর সিটি।