ডেস্ক নিউজ
দেশের অর্থনীতিতে এখন রমরমা অবস্থা। বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত আর্থিক মন্দা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত ১০ বছর ধরে সমৃদ্ধি বজায় রেখেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর সুফলও পাচ্ছে দেশের মানুষ। এখন আর কোন মানুষ না খেয়ে থাকে না। খাদ্য ঘাটতির ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন খাদ্যশস্যে উপচে পড়ছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে এসে অভাবনীয় সাফল্য। মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে। প্রায় ঘরে ঘরেই পৌঁছে গেছে বিদ্যুত। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে ‘বলিষ্ঠ অগ্রগতি’ অর্জন করেছে। মাইলফলক অর্জন এসেছে নারী-পুরুষ সমতা এবং বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তির ক্ষেত্রে। জলবায়ু অভিযোজনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বাংলাদেশ এখন সৌরবিদ্যুত ব্যবহারকারী হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এডিবি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হতে পারে। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ভারত। গত ১০ বছরে মোট ২৬টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ। এ সময়ে বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী মোট দেশজ উৎপাদনের ব্যাপ্তি ঘটেছে ১৮৮ শতাংশ। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপি’র আকার ছিল ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বেড়ে চলতি বছরে দাঁড়িয়েছে ৩০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জিত হয়েছে ৮.১৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, রফতানি আয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরের তুলনায় তিনগুণ বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হয়েছে ৪০.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯০৯ মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০০৫-০৬ হতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মধ্যে বিনিয়োগ জিডিপি’র ২৬ শতাংশ হতে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বেসরকারী বিনিয়োগ ৫ গুণ বেড়ে হয়েছে ৭০ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৯ গুণ বেড়ে হয়েছে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সামাজিক সূচকেও বাংলাদেশের সাফল্য অভূতপূর্ব। এসব সূচকে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই শুধু দক্ষিণ এশিয়াই নয়, প্রতিবেশী ভারতের চেয়েও অনেক এগিয়ে গেছে। নারী-পুরুষ সমতা এবং বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তির মাইলফলক অর্জনের পর বাংলাদেশ এখন মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে মনোনিবেশ করেছে। বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার এখন ৫০ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নেমেছে।