ডেস্ক নিউজ
“ভিশন-২০২১” ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আরেকধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। টেলিযোগাযোগ খাত ও ডিজিটাইজেশনে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড ২০১৯-এর দুটি পুরস্কার গ্রহণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার দু’টি হলো- ‘দ্য আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড এওয়ার্ড ২০১৯ সার্টিফিকেট এপ্রিসিয়েশন’ ও ‘দ্য আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড এওয়ার্ড ২০১৯ রিকগনিশন অব এক্সিলেন্স’। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস গত ২৫ নভেম্বর, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
ভিশন-২০২১ কে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে সকল সরকারি সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার প্রায় সকল প্রস্তুতি শেষের দিকে। মূলত আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড এওয়ার্ড ২০১৯-এ বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং একটি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন স্থাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরার জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)কে ‘দ্য আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড এওয়ার্ড ২০১৯ সার্টিফিকেট এপ্রিসিয়েশন’ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড এওয়ার্ড ২০১৯-এ সেরা উদ্ভাবনের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সফল উদ্যোগ সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম (সিবিভিএমপি) ‘দ্য আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড এওয়ার্ড ২০১৯ সার্টিফিকেট এপ্রিসিয়েশন’ পুরস্কার লাভ করে বাংলাদেশ। সিবিভিএমপি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতিটি সিমকার্ড নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবির সত্যতা সঠিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়। ফলে, এ ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটনের হার ব্যাপক হারে কমে এসেছে। যা বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম সাফল্য বললে ভুল হবে না। বিগত সরকারের আমলে যে দেশ টানা তিনবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, সেই দেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন ভাবে ঘুরে দাড়িয়ে জাতীয় প্রবৃদ্ধি সহ উন্নতি করবে কেউ চিন্তাই করতে পারেনি। যা বাস্তবে সম্ভব করে দেখিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।