ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন। উপকূলীয় অঞ্চলে শস্য আবাদে আরও ঝুকি তৈরি হতে পারে। এজন্য বাংলাদেশে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণা সহযোগিতা প্রসারিত করবে দেশটি। বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ কোটি ডলারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ইউএসডিএ।
বুধবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইউএসডিএর বাংলাদেশ মিশন প্রধান মেগান এম ফ্র্যানসিক এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের কৃষিতে সহযোগিতা, বিনিয়োগ এবং পটভূমি জানানোর জন্য রাজধানীর আমেরিকান সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কৃষি সহায়তা (এফএএস) বিভাগ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) ১৫ জন সদস্য এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে বিএজেএফ সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার উপ-নগর সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, সহ-সভাপতি ইয়াসির ওয়ার্দাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ আল-মাসুম মোল্লা এবং ঢাকা ট্রিবিউনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ বক্তব্য দেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান দন্দ্ব খাদ্য নিরাপত্তায় আরও সংকট তৈরি করবে জানিয়ে মেগান এম ফ্র্যানসিক বলেন, ইতোমধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনের দিনে সাপ্লাইচেইন আরও বাধাগ্রস্থ হতে পারে। কৃষি উপকরণ বিপণন বাধাগ্রস্থ হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই খাদ্য ও কৃষি পণ্যের ওপর বাধা আসুক এটা চায় না। শক্তিশালী জি-৭-এর সদস্যভূক্ত দেশ হিসেবে প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, কৃষি পণ্যের উপর যেন কোনো দেশই নিষেধাজ্ঞা না দেয়।
বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে সামনের দিনে ইউএসডিএ কি করবে এমন প্রশ্নের জবাবে মেগান এম ফ্র্যানসিক বলেন, কৃষির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিপণন বা সাপ্লাইচেইনের উন্নতি করা। সেটি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এছাড়া কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ এবং আরও সঠিক তথ্য সরবরাহ বাড়ানোয় নজর দিচ্ছে ইউএসডিএ।
এছাড়া কৃষির উন্নয়ন সরকারী ও বেসরকারী অংশীদারিত্ব বাড়াতে কাজ করা হবে। বিশেষ করে কৃষির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ানো, কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও দক্ষ করে তোলায় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এছাড়া দেশের কৃষি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের যুক্তরাষ্ট্র সরকার উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণের জন্য ফেলোশিপ কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করছে। ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ১২ কোটি ডলারের খাদ্যসহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের বাণিজ্য সহজীকরণ করতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তৈরি পোশাক খাতের জন্য সুতার একটি বড় অংশ আমদানি করা হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সেটিও সামনের দিনে সরবরাহ করবে। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা ও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।