ডেস্ক নিউজ
পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে চায় পাকিস্তান। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সব ধরনের সুযোগ কাজে লাগাতে দেশটির ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই-কমিশনার ইমরান সিদ্দিকীকে প্রেসিডেন্ট ভবনে ডেকে আলোচনা করেন প্রেসিডেন্ট আলভি। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করে পাকিস্তান। বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও স¤প্রসারিত করতে চায় তার দেশ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনার করার জন্য হাই-কমিশনার ইমরান সিদ্দিকীকে ঢাকা থেকে ইসলামাবাদে ডেকে পাঠায় পাকিস্তান সরকার। ১৭ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বাংলাদেশ। এই উদযাপনে অংশ নিতে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশে আসছেন।
এদিকে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। দীর্ঘদিনের হিমশীতল সম্পর্কের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নেওয়া নানা ধরনের পদক্ষেপের কথা প্রেসিডেন্টকে জানান ইমরান সিদ্দিকী।
গতকাল বুধবার পাকিস্তানি দৈনিক ডন বলছে, গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে বড় ধরনের উন্নতি ঘটেছে। ওই বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাক হাই-কমিশনার ইমরান সিদ্দিকী। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য পাকিস্তানি ভিসা পেতে সব ধরনের বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করে নেয় ইসলামাবাদ। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া বিদ্যমান রয়েছে। এর মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব-পর্যায়ের পরামর্শক এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনও রয়েছে। কিন্তু এসবের বেশিরভাগই স্থগিত রয়েছে। গত প্রায় ১২ বছর ধরে বন্ধ থাকা পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের সংলাপ নিকট ভবিষ্যতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
ডন বলছে, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি হাই-কমিশনার সিদ্দিকীকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধা লাভের জন্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক, ব্যবসায়িক সহযোগিতা এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ক্রীড়াসহ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিনিময় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।