ডেস্ক নিউজ
শিক্ষাঙ্গন
- ঢাবির আধুনিক টিএসসির নকশা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
- এবার পেছালো বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষাও
- ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ৩১ শে জুলাই থেকে শুরু
- কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ
- মামুনুলের পারিবারিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হচ্ছে রাহমানিয়া মাদ্রাসা
রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাহায্যে সরকার পতনের পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। এজন্য মাসে ৪৫ হাজার ডলার বেতনে একজন ইহুদি লবিস্টও নিয়োগ দিয়েছিল দলটি। বিএনপি নেতাদের ইচ্ছা ছিল, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশের সরকারকে উৎখাত করা। এজন্য আগে থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছিল তারা। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং ২০১৪ সালের তাদের জ্বালাও-পোড়াও তাণ্ডবের দৃশ্যগুলো সরকারের কর্মকাণ্ড বলে বিশ্বনেতাদের কাছে উপস্থাপন করে এই চক্রটি। এসময় বাংলাদেশে ইসরায়েলের দূতাবাস করার অনুমতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এই উদ্দেশ্যে মোসাদ এজেন্ট মেন্দি সাফাদির সঙ্গে লন্ডনে তারেক রহমান, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ আরো কয়েকজনের একাধিক বৈঠক হয়। মোসাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকগুলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশি সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী ও ইহুদি মানবাধিকার কর্মী রিচার্ড এল বেনকিন। বৈঠকে থাকা মেন্দি সাফাদির আরো পরিচয় হলো- তিনি ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং দেশটির একজন প্রতিমন্ত্রীর উপদেষ্টা। কিন্তু একটি বৈঠকের পর সাফাদির সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ছবি প্রকাশ হয়ে পড়লে, সক্রিয় হয়ে ওঠে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে তাদের এই অপচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ে।
এমনকি ২০০০ সালেও দেশে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলের ভয়ানক পটভূমি রচনা করেছিল বিএনপি, এই সময়ও মোসাদের প্রশিক্ষিত এজেন্টদের দেশের জঙ্গি-গ্রুপগুলোতে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়। তবে ভারতীয় গোয়েন্দারা কলকাতায় আটকে দেয় এরকম ১১ জনকে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঢাকায় কারাবন্দি খুনিদের মুক্ত করতে বাংলাদেশি বিমান ছিনতাই করা হবে। জামায়াত ও বিএনপির একাধিক নেতার নির্দেশে এই আয়োজন করা হয়েছিল।
২০০৮ সালে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাংবাদিক সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী ও মার্কিন নাগরিক ইহুদি মানবাধিকার কর্মী রিচার্ড এল বেনকিনের উদ্যোগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নিয়ে আসা হয়। বিএনপি-জামায়াতের সহযোগী হিসেবে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি নামে হুজি প্রকাশ্যে আত্মপ্রকাশ করে এসময়। এসব তথ্য উপাত্ত প্রমাণ করে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বা ইহুদিদের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ অনেক আগেই হয়েছে। আন্দোলন করে সরকারকে হটাতে না পেরে তারা আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ করছে। সেটাও তেমন কোনো দোষের হতো না যদি তারা পৃথিবীর একমাত্র যে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নেই তাদের সঙ্গে হাত না মেলাতো।
এর আগে, ক্ষমতায় থাকার জন্য জঙ্গিদের ছাড় দিয়েছে বিএনপি, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এমনকি ইহুদি লবিস্ট সাফাদি তার সাক্ষাৎকারেও জানিয়েছেন- সব কিছুই মি. রহমানের ইশারাতেই এটা হয়েছে। তারেক রহমান বাংলাদেশে ইসরায়েলের দূতাবাস স্থাপনের ব্যবস্থা করবেন বলেও তাদের কথা দিয়েছিলেন।