ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত করার আশ্বাস দিয়েছেন নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্মদক্ষতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার কথা স্মরণ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদানের কথা ব্যক্ত করেন।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সঙ্গে গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স এর প্রেসিডেন্ট এ্যান্ড সিইও মার্ক জেফ এক বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে কোভিড-১৯ পরবর্তী অবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতিতে উদ্ভূত অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে তারা বিশদভাবে আলোচনা করেন। এসময় কনস্যুলেটের প্রথম সচিব ইসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে কনসাল জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধু যে একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে তাই নয়, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে আজ বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত। অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে অভিহিত করে তিনি প্রেসিডেন্ট জেফকে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি অবহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোষাকের রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি তিনি রপ্তানি বাজারকে আরো সম্প্রসারিত করার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরিকল্পিত বিকাশমান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ এর প্রাপ্ত সুবিধাসমূহের বর্ণনা দিয়ে কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদেরকে আরও আন্তরিকভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আমন্ত্রণ জানান। এক্ষেত্রে তিনি অন্যান্যের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত সমূহের কথা বিশেষভাবে চিহ্নিত করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট মার্ক জেফ কে গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স এর একটি প্রতিণিধি দলসহ বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রেসিডেন্ট মার্ক জেফ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।