ডেস্ক নিউজ
ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী কমিটির সদস্য বুরহান পোলাত বলেছেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্সের কার্যালয়ে ‘তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে তুরস্ক সফর করছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের জন্য ২৩তম বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্যস্থল। বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশসমূহের মধ্যে তুরস্ক ২৯তম বৃহত্তম দেশ যে দেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৩০ দশমিক ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৭১ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে তবে তা ত্বরান্বিত করার জন্য দুই দেশের উদ্যোক্তাদের আরও বেশি হারে বিনিয়োগে উৎসাহিত হতে হবে। কারণ বর্তমান বাণিজ্যের পরিমাণ মোটেও সন্তোষজনক নয়। বাংলাদেশের শিল্প খাতের আধুনিকায়নে তুরস্কের প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান, এসএমই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যৌথ গবেষণা কার্যক্রম এবং এগ্রো ভেলু চেইনের উন্নয়নে তুরস্ককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। ইস্তাম্বুল চেম্বারের নির্বাহী সদস্য বুরহান পোলাত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, কারণ দেশটি গত কয়েক দশকে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোরারোপ করেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য তুরস্ক একটি অপার সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ চামড়া, ওষুধ, তৈরি পোশাক ও হাল্কা প্রকৌশল শিল্পে আশাব্যঞ্জক উন্নতি সাধন করতে পেরেছে। এছাড়া, দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার আহ্বান জানান তিনি। দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন বুরহান পোলাত।