ডেস্ক নিউজ
ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫ অক্টোবর ২০১৯ বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আইডিইবি খুলনা ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিআইপিএসডিআই) এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সহায়তায় ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এবং হিন্দুস্তান মেশিন ট্যুলস ইন্টারন্যাশনাল (এইচএমটিআই) যৌথভাবে খুলনার খালিশপুরস্থ আইডিইবি খুলনা ক্যাম্পাসে বাস্তবায়ন করছে। দেখে নিন, এরফলে যেসব সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
অর্থনীতিতে অবদানঃ এই প্রকল্পে যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাদের মাধ্যমে প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা কার্যক্রম বাংলাদেশে সম্প্রসারিত হবে। যা বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন ও আর্থ সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
শিক্ষার প্রসারঃ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার ফলে কারিগরি প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানবিজ্ঞানে গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সেইসাথে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবছর ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে।
কর্মসংস্থানঃ এ প্রকল্পের মাধ্যমে খুলনায় ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সে স্থাপিত বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউটের উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ওই অঞ্চলের ক্ষুদ্র-মাঝারি প্রতিষ্ঠানকে নানা ধরনের সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা রাখবে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিন শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টিতে সহায়তাঃ বিআইপিএসডিআই এ অঞ্চলের নারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। প্রত্যেক বছর প্রশিক্ষিত লোকজন দেশের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত হবে।
বন্ধুত্বের সম্পর্কের নতুন মাত্রাঃ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে এত ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগে ঘটেনি। স্বভাবতই, আলোচনার বিষয় হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। যখন আমি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা বলছি তখন আমরা বলতে চাই এই দুই দেশের পরবর্তী পদক্ষেপগুলি কি হবে যাতে তাদের এই সম্পর্ক অন্য মাত্রা নেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি কর্তৃক যৌথভাবে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট সহ ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন করায় আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান সহ শিক্ষিত সমাজ ও রাষ্ট্রীয় চিন্তাবিদগণ উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানান।
মূলত বাংলাদেশ ভারতের মাঝে এই চুক্তি ছিলো নিজেদের মাঝে বন্ধুত্বের নতুন দিগন্তকে আরো প্রসারিত করার অন্যতম একটি মাধ্যম। এবং এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের পাওনা অতুলনীয়।