ডেস্ক নিউজ
আজ বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। ডিম দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিদিনই ডিম খাই, রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াই’। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন জানান, দিবসটি উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ সারা দেশে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এ ছাড়া শুক্রবার সকাল ১০টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দিবসটি নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
জানা যায়, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার প্রথম বিশ্ব ডিম দিবসের আয়োজন করা হয়। ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে পালিত হয় দিবসটি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া হিসাব অনুযায়ী ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৫৭৪.২৪ কোটি এবং ২০১৯-২০ সালে এ পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭৩৬ কোটিতে। অর্থাৎ গত দশ বছরে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জনপ্রতি বছরে ১০৪টি ডিম হারে বর্তমানে জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১০৪.২৩টি। বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পুষ্টিবিদরা জানান, ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। পরিবারের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিমের বিকল্প নেই। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি ডিম রাখা উচিত।