ডেস্ক নিউজ
‘পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশের উন্নয়ন কেবল বাংলাদেশের জনতার জন্যই নয়, এই উপমহাদেশের উন্নয়নের এক রোল মডেল হয়ে উঠেছে।’ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা গতকাল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বার্তালাপে দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশবিরোধী শক্তিকে ভুল প্রমাণিত করেছে বাংলাদেশের উন্নয়ন। এদিন তিনি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে বলেন, সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের যুবারা মাতৃভাষার মর্যাদা আদায় করতে গিয়ে এক অনন্য নজির স্থাপন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোটা বিশ্ব এই দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রূপে স্বীকৃতি দিয়েছে। পরে ভারত সফররত বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাউথ ব্লকে সাক্ষাৎ করে। দলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কয়েক ডজন সাংসদ ছিলেন। শ্রিংলা তাদের জানান, আগামী দিনে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি এখনো সক্রিয়। তারা এই সম্পর্কে ছেদ ঘটাতে চাইছে, যেটা এ অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক হবে। তিনি বলেন, ‘সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পরিচালন ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে হবে। এ জন্য আরও নতুন নতুন সীমান্ত হাট খোলা প্রয়োজন, যাতে অবৈধ চোরাচালান কমানো যায়। এর সঙ্গে প্রয়োজন বহুমাত্রিক পরিবহন ব্যবস্থা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদি যে গতিশক্তি প্রকল্পের কথা বলেছেন, সেটা হলো সেখানকার উৎপাদিত পণ্য যাতে কম খরচে সরবরাহ করা যায়।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য তিনি দ্রুত সুসংহত বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করার যে চুক্তি হয়েছে, তার দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বে যেমন সহজেই পণ্য পৌঁছাবে, তেমনি বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবসা লাভবান হবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তিস্তা নদীর প্রসঙ্গ না টেনে তিনি বলেন, অভিন্ন নদীগুলোর মধ্যে পানি ব্যবহারের চুক্তি সম্পাদনের কাজ চলছে। এতে কেবল পানির অংশীদারি নয়, নদীতীরবর্তী উন্নয়নের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।