গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ আগামীকাল শুরু হবে। ইতোমধ্যে দুই সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারতে পৌঁছেছে। প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পানিপ্রবাহ পরিমাপ শুরুর কথা। শুক্রবার হওয়ায় এ বছর এই কার্যক্রম এক দিন পেছানো হয়েছে।
পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলেন, ‘পদ্মা নদীতে পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণের জন্য দুই সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল আজ বাংলাদেশে এসেছেন। তারা কাল সকাল থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের দুই হাজার পাঁচ শ ফুট উজানে পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু করবেন। নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারতে গেছেন। তারা ফারাক্কার দুটি পয়েন্টে গঙ্গার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবেন।
১৯৯৬ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী পানির ন্যায্য হিস্যার প্রাপ্ততা নিশ্চিত করতে প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দুই দেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা ও পদ্মার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে।
নদী কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম ১০ দিনে ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গায় এক লাখ ৬১ হাজার কিউসেক পানি ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৬০ হাজার ৬১ কিউসেক এবং ভারতের ৪০ হাজার কিউসেক পানি। একই সময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিল এক লাখ দুই হাজার ৫৭৪ কিউসেক।
এ বছর পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইড্রোলজি বিভাগ। গতকাল হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে প্রায় ৮৮ হাজার কিউসেক পানি ছিল।
রইচ উদ্দিন আরও বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে পানি পর্যবেক্ষণ শুরু হলে প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাবে।’