বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতায় সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ এবং ভারত। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দ্বিপাক্ষিক সহায়তা সম্পর্কিত এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে দুই দেশের মধ্যে এসব চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রধান কর্মকর্তা এবং ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামী এসব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকে এসব নথি স্বাক্ষরিত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, সেগুলো হল- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিইও ফোরাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাইড্রোকার্বন বিষয়ে সহযোগিতা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাতি সুরক্ষায় আন্তঃসীমান্ত অভয়ারণ্য তৈরির সহযোগিতা, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর ও ভারতের জাতীয় জাদুঘর মধ্যে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ও বরিশালের স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি।
বরিশালের স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তির আওতায়, বরিশালের লামচড়ি অঞ্চলে পয়ঃনিষ্কাশন কার্যক্রমে সরঞ্জাম সরবরাহ করবে ভারত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিইও ফোরাম চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সিওও ফোরাম গঠনে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন এবং ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাই স্বামী।
সমঝোতা চুক্তির আওতায় কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ। এর আওতায় কৃষি গবেষণা, প্রাণিসম্পদ, পোলট্রি ও মৎস্য খাতের উন্নয়নে গবেষণা, উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধ, কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি সমবায়, পাট উৎপাদন ও চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন ও বিতরণ, বালাই ব্যবস্থাপনা, বায়োটেকনোলজি, কৃষি শিল্পে যৌথ উদ্যোগ, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়, যৌথ প্রকাশনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া হাইড্রোকার্বন খাতে, ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম ফজলুল হক।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।