নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে অপহরনের ৫দিন পর অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে নাটোর শহর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় অপহরনকারী অন্তর আহম্মেদ ও তার বাবা আতাহার আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের হেফাজত থেকে ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতরাতে শহরের বড়হরিশপুরের অপহরনকারীর এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার সহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান র্যাব।
র্যাব ৫, নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার জানান, ভিকটিম বাগাতিপাড়ার রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১০ম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে স্কুল ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া আসা করার সময় অভিযুক্ত অন্তর আহম্মেদ বিভিন্নভাবে প্রেম ভালোবাসা প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে তার অভিভাবকরা অন্তরকে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অন্তর আহমেদ। এরই এক পর্যায়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারী সকালে ওই ছাত্রী বাড়ী থেকে বের হয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। পথে রহিমানপুর বাজারে পৌঁছালে অভিযুক্ত অন্তর ও তার ৩/৪ জন সহযোহী জোর করে ওই ছাত্রীকে একটি সিএনজি গাড়ীতে করে তুলে নিয়ে চলে যায়। দীর্ঘ সময় ওই ছাত্রী বাড়ীতে ফিরে না আসলে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। পরে তারা জানতে পারে অন্তর ও তার সহযোগিরা ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেছে। পরে এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অন্তর আহমেদ ও তার বাবা আতাহার আলীর নাম সহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে বাগাতিপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরর পর পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-৫ বরাবর আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের ও অপহৃত ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। পরে গতরাতে শহরের বড়হরিশপুর এলাকায় একটি বাড়ীতে অবিযান চালিয়ে অপহরনকারী বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার এবং তাদের হেফাজত থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের সহ ভিকটিমকে বাগাতিপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়।