নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরনের প্রায় দুই মাস পর নবম শ্রেণির সেই ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। সোমবার সকালে রাজশাহী জেলার পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামীর জিয়ারুল ইসলামকে তার এক নিকট আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ি থেকে টিফিন শেষে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রী নিখোঁজ হন। ওই দিনই ছাত্রীর বাবা তার মেয়েকর অপহরনের অভিযোগ এনে উপজেলার কালিকাপুর দিয়ারপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। জিয়ারুল ইসলাম বাঁশবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ঘটনার প্রায় দুই মাস পর সোমবার ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করে ছাত্রীকে তার বাবা-মা’র হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী জিয়ারুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, উদ্ধারের পর ছাত্রী পুলিশকে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে প্রেমঘটিত কারনে পালিয়ে গিয়ে জিয়ারুলকে সে বিয়ে করেছে। তবে বিয়ের কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি বলে পুলিশ জানায়। এজাহারে ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, তার মেয়ে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার দিন টিফিন শেষে বাড়ি থেকে স্কুলে ফেরার পথে জিয়ারুল ইসলাম ও তার তিন সহযোগি তার মেয়ের মুখে গামছা পেঁচিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার বয়স নির্ধারনের জন্য ছাত্রীকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হবে। এছাড়াও তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা সেটাও পরীক্ষা করা হবে।