- টিপু মুনশির সঙ্গে দোরাইস্বামীর মতবিনিময়
॥ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য বাধাগুলো দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, এজন্য উভয় দেশকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। দুদেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য জটিলতা দূর করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানও সম্ভব। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র ভারত। দুদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের চলমান বাণিজ্য আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ারসহ সীমান্তগুলোতে কাস্টমস ব্যবস্থাপনায় উন্নতি করে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। বিক্রম দোরাইস্বামীর প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যাগুলো আগেই সমাধান করা যেত। প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে তা সম্ভব হয়নি, নতুন করে আলোচনা শুরুর সুযোগ এসেছে। এখন সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বাড়ানোর আরও সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধমে এ সব সমস্যা দূর করা সম্ভব। রামগড় সীমান্তে ব্রিজ নির্মাণের ফলে উভয় দেশের আমদানি ও রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে কাস্টমস হাউস ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করে কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। এতে ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। সীমান্তে কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ভারতে ১০৯৬ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ, একই সময়ে আমদানি করেছে ৫ হাজার ৭৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্য জটিলতা দূর হলে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আরও বাড়বে।