নিউজ ডেস্ক:
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আলোচিত ‘বালিশ কাণ্ডে’ জড়িত প্রকৌশলী মাসুদুল আলম ছাত্রদল নেতা নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলছেন, ছাত্র জীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন মাসুদুল আলম। মাসুদুল প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুলের দাবি কিছুটা সঠিক হলেও তিনি আরও কিছু তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (২২ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল কৌশলে মাসুদুল আলমকে ছাত্রদলের নেতা মানতে অস্বীকৃতি জানান।
কিন্তু বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই ইঞ্জিনিয়ার এক সময় ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা ছিলেন। মাসুদুল খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্রদলের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন।
জানা গেছে, মাসুদুল আলম কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে তিনি কুয়েটের এ কে ফজলুল হক হলে ২৬ নম্বর রুম থাকতেন। তার রোল নম্বর ছিলো ৯২১৩৫। মাসুদুল ২০০০ সালে পাশ করে কুয়েট ত্যাগ করেন।
বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাসুদুল কুয়েটের প্রথম জীবনে বাম রাজনীতি করলেও পরবর্তীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। একটা পর্যায়ে তিনি ছাত্রদলের ব্যানারে কুয়েটের ভিপি নির্বাচিত হন।
মাসুদুল আলমের ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুয়েটের একজন অধ্যাপক বলেন, প্রকৌশলী মাসুদুল আলম আমাদের ছাত্র ছিলো। ফাস্ট ইয়ারে তিনি বাম দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হয়ে পড়েন। এর কিছুদিন পরে ছাত্রদলের ব্যানারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নির্বাচিত হন। ভিপি থাকাকালীন সময়ে তিনি প্রচণ্ড দাপুটে ছিলেন। তার অত্যাচারে হলে সাধারণ ছাত্রদের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
প্রসঙ্গত, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় ভবনের আসবাবপত্র ও বালিশ কেনাসহ অন্যান্য কাজের অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগ উঠে প্রকৌশলী মাসুদুল আলমের বিরুদ্ধে। পরে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।