নিউজ ডেস্ক:
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পথে সহায়ক এই বাজেটকে জনবিরোধী হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। বাজেটের বিশেষ ত্রুটি না পেয়ে অনেকটা মনগড়া বিবৃতি দিচ্ছে বিরোধী দলীয় নেতারা।
তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকারকে অনির্বাচিত দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাজেট ঘোষণার নৈতিক অধিকার সরকারের নেই। যদিও বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদদের মতোই নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা। সেই প্রেক্ষাপটে অনির্বাচিত সরকার হিসেবে দাবি করে বাজেটকে বিতর্কিত করতে আমীর খসরুসহ বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য
নিতান্তই মূর্খতা হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে একজন অর্থনীতিবিদ বলেন, একটি বাজেট হচ্ছে একটি দেশের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সার্বিক পরিকল্পনা। পরিকল্পনা যত সুষ্ঠু হবে দেশের অগ্রগতি ততই তরান্বিত হবে। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সে চেষ্টা চোখে পড়ার মতো। সুতরাং বাজেট নিয়ে বিরোধী দলের দৃষ্টিভঙ্গি আরো সুদূর প্রসারী হতে হবে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে মনগড়া বিতর্কে ফেলে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর আগামী দিনের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা রাজনৈতিক শিষ্ঠার বহির্ভূত বলেই আমি মনে করি।
বিগত বাজেটে নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা, বেকারত্ব, মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য-শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন না দেখে নতুন বাজেটে নিয়ে বিএনপি নেতারা বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। এ প্রসঙ্গে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, বাজেট নিয়ে বিএনপি বরাবরই নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। তাদের এই অভ্যাস নতুন নয়। যেকোনো ইস্যুকে বিতর্কিত করতে তাদের এই চর্চা পুরনো। বাজেট যেহেতু এটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন পরিকল্পনা, তাই রাজনৈতিক সুবিধা তৈরি করতে সেটিকে বিতর্কিত করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, ইদানীং যেকোনো ইস্যুতে বর্তমান সরকারকে অনির্বাচিত বলছে বিএনপি। যদি তাই হয় তবে বিএনপির যারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে তারাও তো অনির্বাচিত হিসেবেই বিবেচিত হয়। অবাক করার বিষয়, সেটি নিয়ে তারা কোনো কথা বলেছে না। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলছি- অযথাই জল ঘোলা করবেন না, আপনাদের প্রতিনিধিরা যেমন নির্বাচিত, বর্তমান সরকারও তেমনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।