নিউজ ডেস্ক :
ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেতে বয়সসীমা নির্ধারণসহ বেশকিছু শর্তারোপ করার প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন থেকে বিক্ষোভ করছে ছাত্রদলের পুরনো কমিটির নেতারা। শর্ত বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে ভ্রূক্ষেপ না করায় দলীয় হাইকমান্ডকে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ এ আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে একইদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে প্রায় ৪০০-৫০০ নেতাকর্মী অংশ নেন। কর্মসূচি সফলের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে, আগামী শনিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে রোববার থেকে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এ জন্য দলের দালাল সিন্ডিকেট দায়ী থাকবে।
কী ধরনের কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে জানতে চাইলে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, কর্মসূচি কঠোর হবে। আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করা না হলে এর পেছনে জড়িত সিন্ডিকেট-দালাল নেতাদের ধরে ধরে তাদের অপকৌশল জনগণের সামনে তুলে ধরবো। কে এবং কারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে সে সম্বন্ধে পুরো তথ্য আমাদের কাছে আছে। সুতরাং সাবধান। আমাদের দাবি মেনে নেয়াই তাদের জন্য মঙ্গল হবে।
প্রসঙ্গত, বয়সের সীমা না রাখা, স্বল্পমেয়াদী কমিটি গঠনসহ তিন দফা প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে গত ১১ জুন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিলুপ্ত কমিটির একাংশের নেতারা। পরে ওইদিন রাতে দাবি পূরণে সাবেক ছাত্রনেতাদের আশ্বাসে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। পরবর্তীতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে সার্চ কমিটির সদস্য ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় দাবি পূরণে সবাই আশ্বাস দিলেও কার্যত এখনও পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুন ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। আর কাউন্সিলে প্রার্থী হতে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যেকোনো বছরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং অবশ্যই বাংলাদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হওয়াসহ তিনটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়।