নিউজ ডেস্ক:
দলীয় অসঙ্গতি, নেতৃত্বের ব্যর্থতা এবং রাজপথের আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়তার জন্য একের পর এক পদত্যাগ করছেন তৃণমূল বিএনপির নেতারা। নানা অভিযোগ এনে এসব পদত্যাগের কারণে অস্বস্তিতে পড়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।। তারা বলছেন, নেতাদের পদত্যাগের কারণে দলীয় ভঙ্গুর অবস্থা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যা দলে সার্বিক অবস্থার জন্য অশনিসংকেত।
তথ্যসূত্র বলছে, ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় দল থেকে পদত্যাগ করেন নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র মাঈন উদ্দিন। পাশাপাশি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এর একদিন আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে সারা দেশে নতুন করে বিএনপি নেতাদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটে। ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন শেরপুর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল।
এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজশাহী জেলা শাখা দলীয় প্যাডে মোহনপুর উপজেলা বিএনপির ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়ার পর ৩৬ নং সদস্য হিসেবে নাম উল্লেখিত গোলাম মোস্তফা বাবলু পদত্যাগ করেছেন। তিনি তার পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাকে মূল্যায়ন না করায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তৃণমূল নেতাদের গণপদত্যাগের প্রেক্ষাপটে অস্বস্তি বাড়ছে কেন্দ্রে। নেতারা বলছেন, একের পর এক দলীয় নেতাদের পদত্যাগ তৃণমূলের শক্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। যা দলীয় ভঙ্গুর অবস্থার চিত্রকে স্পষ্ট করছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুর জেলা বিএনপির একজন নেতা বলেন, তৃণমূলের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ না করে দলীয় হাইকমান্ড যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা নেতাদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে নেতারা একের পর এক পদত্যাগ করছেন। যা মোটেই দলের জন্য ফলপ্রসূ নয়।