ডেস্ক নিউজ
সম্প্রতি বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তার জন্য গঠিত রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এই তালিকায় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদেরও একটি আনুষ্ঠানিক তালিকা প্রকাশ করার কাজ চলমান রয়েছে, যেটি প্রকাশ করা হবে আগামি বছরের ২৬শে মার্চ। বিজয় দিবসের পূবেই রাজাকারদের প্রকাশিত এই তালিকা বিজয়ের চেতনা ধারণকারী নতুন প্রজন্মের মাঝে সাড়া ফেললেও, স্বাধীনতা বিরোধীদের সবসময়ের বন্ধু বিএনপি ভালো ভাবে নেয়নি এই তালিকা।
মহান বিজয় দিবসে যখন পৃথিবীময় ছড়িয়ে থাকা বাঙালি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের, তখন প্রকাশিত তালিকায় থাকা রাজাকারদের জন্যে মায়াকান্না করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন এই স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা!
সোমবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ফখরুল বলেন, ‘রাজাকারদের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমাদের দাবি তো একটাই, সুষ্ঠু রাজাকারদের তালিকা নির্ধারণ। একমাত্র শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দলই সেটা করতে পারেন।’ এসময় উপস্থিত এক সাংবাদিক ফখরুলকে প্রশ্ন করেন, ‘কিন্তু রাজাকারদের দল বলে চিহ্নিত জামায়াতের সঙ্গে আপনাদের আঁতাত। আপনারা কিভাবে রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করবেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে ফখরুল উক্ত সাংবাদিকের উপর চড়াও হন।
মহান বিজয় দিবসে প্রকাশ্যে রাজাকারদের পক্ষে ফখরুলের এই সাফাই গাওয়া উপস্থিত গণমাধ্যকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। অনেকেই এসময় ফখরুলকে রাজাকার বলে সম্বোধন করেন। এসময় চারদিক থেকে নানা তির্যক মন্তব্য আসতে থাকলে দ্রুত বিএনপির বাকি নেতাদের সাথে উক্ত স্থান ত্যাগ করেন ফখরুল।