ডেস্ক নিউজ
বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট। মোবাইল বা ইন্টারনেট ছাড়া যোগাযোগ কল্পনাও করা যায় না। এক কথায় ফোন-ইন্টারনেট ছাড়া এখন চলেই না। দেশে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ফোন সেবা দিয়ে আসছে এবং ২ হাজারের অধিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে আসছে। গ্রাহক সেবা প্রদানে এসব প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার কেয়ার রয়েছে। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সেবা সম্পর্কে তথ্য ও অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু অধিকাংশ সময় সেবার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলো উদাসীন থাকে।
গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কল সেন্টার “১০০” চালু করে। বিনা খরচে ফোন করে যে কেউ ইন্টারনেট বা ফোন সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ ও অভিযোগ জানাতে পারবেন এই “১০০” নম্বরে।
দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা বা সঠিক অভিযোগ কোথায় কিভাবে করতে হয় বেশীরভাগ লোকের অজানা। নানান ঝামেলায় জড়াতে চাননা বলে এড়িয়ে যায় অনেকেই।
আব্দুল করিম নামের একজন লোক প্রত্যন্ত চর অঞ্চলে বসবাস করে। তার মোবাইল ফোন থেকে ভুলবশত কোন একটি সার্ভিস চালু হয়ে গেছে। প্রত্যেকদিন অতিরিক্ত টাকা কেটে নিচ্ছে। কিন্তু আশেপাশে কারো মাধ্যমেই তিনি তা বন্ধ করতে পারেননি। সে যদি সাধারণ কমপ্লেইন করতে যায় তবে যেতে হবে শহরে। যা অনেক খরচ এবং সময়সাপেক্ষ। অপরদিকে এত কাঠখড় পুড়িয়ে ফোন কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে গেলে তারা এমন বিষয়গুলো সাধারণ কমপ্লেইন করার আশ্বাস দেয়। যদিও এইসব অভিযোগ কোন কাজে আসেনা। আর তাই ভোক্তার সঠিক অধিকার আদায়ে এবং মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঠিক সেবা নিশ্চিত করতে “১০০” হটলাইন সেবা চালু করেছে বিটিআরসি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে “ভিশন-২০২১” বাস্তবায়নে যেমন আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োজন তেমন প্রয়োজন এদের নিয়ন্ত্রণ। আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে ২০১৬ সালে পুরনো ২৮৭২ বাতিল করে “১০০” শর্টকোডটি নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে বিটিআরসি।
বর্তমানে কমিশন থেকে বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবার জন্য দেওয়া মোট লাইসেন্সের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ২৫টি। এই সংখ্যক লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহীতারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন এবং বিটিআরসির কাছে অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য আবেদন করে থাকেন। টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণকারীরা প্রাথমিকভাবে তাদের সংশ্লিষ্ট টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কাঙ্খিত সেবা বা পরামর্শ না পেলে বিটিআরসির এই অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে যোগাযোগকারী গ্রাহককে কাঙ্খিত সেবা দিতে বিটিআরসি যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে কমিশন।