ডেস্ক নিউজ
দেশে বর্তমানে ক্যাপটিভ ও অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুতের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। আর বর্তমানে চাহিদার পরিমাণ গড়ে প্রতিদিন ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী সেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নের জবাবে গতকাল তিনি এ তথ্য জানান।
আরেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, গত বছরের ১২ এপ্রিল ১২ কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৭৫ টাকা। সর্বশেষ ৩ মার্চ তার দাম বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৩৯১ টাকা। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সমুদ্রাঞ্চলে অবস্থিত ব্লকগুলো নিজেরা খনন করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। অগভীর এবং গভীর সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদনকার্যক্রম উচ্চ প্রযুক্তিনির্ভর, অত্যধিক ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
সংসদকে প্রতিমন্ত্রী জানান, পেট্রোবাংলার আওতাধীন দেশীয় অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের স্থলভাগে সক্ষমতা থাকলেও সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন বিশেষভাবে প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়বহুল হওয়ায় সে সক্ষমতা নেই।
সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, সুষ্ঠু ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের বড় বড় শহর তথা মেট্রোপলিটন এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের তার মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় ডিপিডিসি এক হাজার ২৮৭ কিলোমিটার ও ডেসকো এক হাজার ৩৬৬ কিলোমিটার, বাবিউবো সিলেটে ৩৮ কিলোমিটার, নেসকো রাজশাহী ও রংপুরে ১১ কিলোমিটারসহ প্রায় দুই হাজার ৭০২ কিলোমিটার ভূ-গর্ভের লাইন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে।