ডেস্ক নিউজ
চলতি গ্রীষ্ম ও আসন্ন রমজানে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকবে সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। এ সময়ে মানুষ যাতে নির্বিঘেœ ইফতারি ও তারাবির নামাজ পড়তে পারেন, সেজন্য চাহিদার সবটুকু বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আসন্ন রমজান ও চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।
সভায় রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকে বলা হয়, ইফতার, তারাবির নামাজ ও সাহরির সময়ে কোনোভাবেই লোডশেডিং করা যাবে না। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকে ওভারলোডেড ট্রান্সফরমার পরীক্ষা করে প্রতিস্থাপন এবং স্টোরে পর্যাপ্ত ট্রান্সফরমার মজুদ রাখতে হবে।
বৈঠকে বলা হয়, দেশের সুপার মার্কেট, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন যাতে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এটা নিশ্চিতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন ‘শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে এ সভা করা অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য করতে হচ্ছে। এই যুদ্ধের জন্য অনেক দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।’ তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে থাকলে যেকোনো সমস্যাই দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।’
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় অন্যদের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মোহা. সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।