ডেস্ক নিউজ
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সঞ্চিতির নাম দেয়া হয়েছে ‘স্পেশাল জেনারেল প্রভিশন কোভিড-১৯।’
২০২০ সালে করোনার কারণে বিশেষ সুযোগ নিয়ে বছরজুড়ে কিস্তি না দিয়েও যে সব ঋণ খেলাপি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সে সব ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত এক শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ এখন সংরক্ষণ করতে হবে ৩ শতাংশ।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর অর্থ বছরের চূড়ান্ত করার সময়ে এই সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই হিসাবে রক্ষিত প্রভিশন অন্য কোনো খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। এর ফলে এবার ব্যাংকের চূড়ান্ত মুনাফায় ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।
তবে যেসব ঋণ নগদ আদায়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে সমন্বয় হয়েছে সে সব ঋণের বিপরীতে আগের নির্দেশনার আওতায় ইতঃপূর্বে সংরক্ষিত অতিরিক্ত এক শতাংশ প্রভিশন আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সব ব্যাংককে পাঠানো হয়। ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি কমাতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০, ৫০ ও ১০০ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। এমনকি খেলাপি নয় এমন ঋণের বিপরীতেরও ঋণের প্রকারভেদে ০.২৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণের (এসএমই) বিপরীতে সবচেয়ে কম দশমিক ২৫ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। আর ক্রেডিট কার্ডে রাখতে হয় সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ।
সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়ে, যেসব ঋণের বিপরীতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় অর্থের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় হবে, সেসব ঋণ মাস ভিত্তিক অশ্রেণিকৃত হিসেবে দেখানো যাবে। এসব ঋণের বিপরীতে ভবিষ্যত আদায় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২১ সালের আরোপিত সুদ বা মুনাফা আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে।
তবে কোনো ঋণের প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে এ সুবিধা বাতিল হবে এবং মাসভিত্তিকই ঋণ শ্রেণিকরণ করতে হবে।