ডেস্ক নিউজ
করোনা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৯৫ দশমিক ১৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গতকাল বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন স্বাক্ষর করেন। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য কভিড-১৯ মহামারি থেকে উত্তরণে নগরকেন্দ্রিক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বাড়ানো, স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিধি সম্প্রসারণ এবং অত্যাবশ্যকীয় নাগরিক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করা। এর মধ্যে রয়েছে- পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, ড্রেনেজ ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রম জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর নিজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইটিভিত্তিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে। লোকাল গভর্নমেন্ট কভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রকল্পের আওতায় ৩০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। বিশ্বব্যাংকের স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসের (এসডিআর) মুদ্রায় এ ঋণ নেওয়া হবে এবং পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে উত্তোলিত ঋণের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং এক দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দেওয়ার বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাংক কমিটমেন্ট ফি দেওয়ার বিষয়টি মওকুফ করে আসছে।